গাইবান্ধা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিদেশগামী কর্মীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যক প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে ৪শ ১০ টাকার জায়গায় নেয়া হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ অর্থ। সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে প্রশিক্ষক ও স্থানীয় কম্পিউটার দোকানের যোগসাজশে চলছে এই অনিয়ম ও অর্থ বাণিজ্য— অভিযোগ প্রশিক্ষণার্থীদের।
জানা যায়, বিদেশগামী কর্মীদের জন্য সরকারের বাধ্যতামূলক ৩ দিনের প্রি-ডিপারচার ওরিয়েন্টেশন বা পিডিও প্রশিক্ষণ নিয়মিত হয়ে থাকে গাইবান্ধা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। কিন্তু প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ— ভর্তি ও রেজিষ্টশন প্রক্রিয়া সর্ম্পুন করতে তাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে দ্বি-গুন টাকা নিচ্ছে কেন্দ্রটি।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি ফি ২শ টাকা এবং অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ২শ ১০ টাকা মোট ৪শ ১০ টাকা নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ— তাদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ৬শ ৫০ থেকে ৭শ টাকা পর্যন্ত।
প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, পিডিও ট্রেনিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটর টিটু চৌধুরী তাদের টিটিসির সামনের “আশা এন্টারপ্রাইজ” নামে একটি কম্পিউটার দোকানে যাবতীয় কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ দোকানের মাধ্যমে এসব অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন তিনি।
প্রশিক্ষনার্থী মো: আলামিন জানান, ওই দোকানের সঙ্গে করা চুক্তির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে। যাদের অনেককেই দেয়া হয় না কোনো রশিদ, আবার যাদের দেয়া হয়— তাদের রশিদে থাকে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ ভিন্ন ভিন্ন টাকার অঙ্ক।
প্রশিক্ষনার্থী মেহেদী হাসান সিয়াম জানান, সরকারি প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় এ ধরনের অর্থ লেনদেন ও অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে গাইবান্ধা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটর পিডিও প্রশিক্ষক মো: টিটু চৌধুরী প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ স্বীকার করে জানান, বিভিন্ন দোকানে বেশি টাকা নেয়, তাই হয়রানি বাঁচাতে তিনি একটি দোকান নির্ধারণ করে দিয়েছেন। দোকানের খরচ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ প্রশিক্ষনার্থীদের দিতে হচ্ছে। অন্য দোকানে করলে আরো বেশি অর্থ ব্যায় হতো।
গাইবান্ধা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মো: শামছুল হক জানান, সরকারি ৪শ ১০ টাকা ফি’র বাইরে কোনো টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। কেউ এর বেশি নিয়ে থাকলে বা নিলে সেটি অপরাধ। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতি মাসে গাইবান্ধা টিটিসি ও জেলা কর্মসংস্থান অফিস থেকে প্রায় ৬ শতাধিক বিদেশগামী প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষন নিয়ে আসছেন।
তথ সংগ্রহ
© All rights reserved © 2025
Leave a Reply